করোনা মহামারির কারণে প্রায় ১৮ মান বন্ধ থাকার পর শ্রেণীকক্ষের দ্বার খুলেছে রোববার। শিক্ষার্থীরা ফিরেছে নিজ ভুবনে।
সারাদেশের ন্যায় রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাজসাজ রব বিরাজ করছে। সকাল ৮টার আগেই শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস পরে অভিভাবকের হাত ধরে উপস্থিত হতে দেখা গেছে।
রোববার সকাল থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পরিদর্শন করেন।
সরকারি হাজী আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়, রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি ফিরোজ মিয়া কলেজ ও আব্বাস উদ্দিন সোহাগপুর কলেজ ও তিন্নি আনোয়ার মহিলা কলেজসহ পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে পাঠদান প্রস্তুতির খোঁজখবর নেন। এ সময় বিদ্যালয়সমুহের পরিবেশ সুন্দর রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, করোনায় প্রায় দেড় বছর ধরে সরাসরি পাঠদান সরাসরি বন্ধ থাকায় শিক্ষার অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হবার পাশাপাশি শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল ও অভিভাবকদের সচেতন হবার আহবান জানান।
ইউএনও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ বা করোনার উপসর্গ থাকলে তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো টিফিন খেতে পারবে না। তারা বাসা থেকে টিফিন খেয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র খাবার পানি সরবরাহ করবে।পরিদর্শনকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে বিগত বছরের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় প্রথম ধাপে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকপর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গেছে আজ থেকে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসার আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্রছাত্রীরা। এক সপ্তাহ ধরে তারা স্কুলব্যাগ, ড্রেস, জুতা ইত্যাদি কিনে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। স্কুল-কলেজ অনেকটাই নতুন রূপে সাজানো হয়েছে।