পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মধ্যচড়াইল গ্রামে এক কিশোরী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা ৪ জনকে আসামি করে শনিবার ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে মেয়েটি তার নানার বাড়ীতে বসবাস করত। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮ ঘটিকায় মেয়েটি তার বোনের শিশু পুত্র (৭ বছর ) কে নিয়ে গ্রামের একটি দোকান থেকে চানাচুর কিনে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় সবুর মোল্লার ছেলে সাকিব মোল্লা (১৭), মো. মিজান এর ছেলে মো. মো. সজিব (২২), মো. আলম এর ছেলে শাহেন শাহ (১৬) এবং অজ্ঞাত এক বখাটে মিলে মেয়েটির পিছু নেয়। মেয়েটি নানার বাড়ীর সামনে পৌঁছলে তার সঙ্গে থাকা শিশুটি দৌড়ে বাড়ীতে চলে যায়। এ সময় চার বখাটে মিলে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী রিপন বেপারী সুপারী বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটির ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ৩ জন চিহ্নিত ও একজন অজ্ঞাত আসামি করে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামালা দায়ের করেছেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটানায় ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।