গাজীপুরের টঙ্গীতে দীর্ঘ প্রায় ১৮মাস পর গতকাল রোববার স্কুল কলেজ খুলে দেয়ায় মুখরিত হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণগুলো। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা সহপাঠিদের কাছে পেয়ে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৯টার পূর্বেই স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা বুকভরা আনন্দ নিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির হয়েছেন। শিক্ষকরাও বিদ্যালয়ের প্রাণ শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে আনন্দের কোন কমতি ছিলো না। দেড় বছর পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এক মিলন মেলায় রুপ নেয়।
সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এ- কলেজ, পাইলট স্কুল এ- গালর্স কলেজ, হাজী কছিমউদ্দিন পাবলিক স্কুল এ- বিএম কলেজ, সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এ- কলেজ, সাহাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এ- কলেজ, কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয়, আউচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরশাদনগর টিডিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসব মুুখোর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছামাত্রই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধির সর্তক বার্তা জানান দেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ইলেকট্রনিক থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোঁয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করা হয়।
এব্যাপারে হাজী কছিমউদ্দিন পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী সাদিয়া আলম ঐশীর মা কাজী শাহনাজ বেগম বলেন, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় খুব ভালো লাগছে। দেরিতে হলেও বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
এবিষয়ে টঙ্গী থানা শিক্ষা কর্মকর্তা শিখা রানী বিশ্বাস বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করতে হবে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।