মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় দরিকান্দি গ্রামে ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে নাজিমুদ্দিন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহত নাজিম উদ্দিন ( ৪০) উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন দরিকান্দি গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
১২ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে আহত নাজিমুদ্দিনের বাড়িসংলগ্ন মুরগির দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত নাজিম উদ্দিন জানান হামলাকারী শহীদুল্লাহ তারবড় ভগ্নিপতি। বিবাহর পর থেকেই শহীদুল্লাহ একই বাড়িতে নাজিম উদ্দিন এর পৈত্রিক ভিটে বাড়ির অর্ধেক দখল করে বসবাস করছেন। নাজিম উদ্দিন এর পৈতৃক বাড়ি সংলগ্ন মুরগির ফার্ম করতে চাইলে ভগ্নিপতি সেখানে বাধা প্রদান করেন। রোববার দুপুরে নাজিমুদ্দিন বাড়ি ফেরার পথে ভগ্নিপতি শহীদুল্লাহ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের ছুরিকাঘাত সহ হামলা চালায়। স্থানীয় লোকের সহযোগিতায় শহিদুল্লাহ রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা অবস্থা শহীদুল্লা এবং তার স্ত্রীর জীবন নেছা তাকে মারধোর করার চেষ্টা চালায়। হামলাকারী শহীদুল্লাহর এক ছেলে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি রত আছেন। শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ থানায় একাধিক বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন আহত নাজিম উদ্দিন।
আহত নাজিম উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
উপজেলা কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত এম এল এস মোহাম্মদ মান্নান জানান আহত নাজিম উদ্দীন হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় প্রতিপক্ষ শহীদুল্লাহ ও তার স্ত্রী জীবন নেছা আহত নাজিমউদ্দিনকে মারার চেষ্টা চালায়।
মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে আহত নাজিমের বড় বোন ঝর্না জানান ভগ্নিপতি শহীদুল্লাহ ও বড় বোন জীবন নেছা আমাদের বাড়ীতেই থাকেন। ভগ্নিপতি শহীদুল্লাহ জোরপূর্বক ভাবে ভাই নাজিমুদ্দিনের জায়গা দখল করার চেষ্টায় বারবার তার উপরে জুলুম অত্যাচার করেছে। এমনকি ভগ্নিপতি শহিদুল্লাহ আমার বৃদ্ধ মাকে ও মারধর করেছে এবং নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলায় দায়ের করেছে। গজারিয়া থানার এসআই আনিস হাসপাতাল উপস্থিত থাকা অবস্থায় আহত নাজিমুদ্দিন ও অন্যান্য বোন শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে সাক্ষী প্রমাণ তুলে ধরেন।গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রইছ উদ্দিন জানান দুই পক্ষেরই মারা মারির ঘটনা ঘটেছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।