বিদ্যালয় প্রাঙ্গণসহ চারিপাশ পানিতে ডুবে থাকায় শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রায় দেড় বছর পর বিদ্যালয় চালু হলেও ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে রাস্তায় পাটি বিছিয়ে। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নবআদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সোমবার সকালে স্কুলের প্রধানশিক্ষক মোঃ সেলিম খান বলেন, পার্শবর্তী নদীর জোয়ারের পানিতে গত কয়েকদিন থেকে গোটা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ তলিয়ে ছিলো। বিদ্যালয়ের ভেতরের বিভিন্ন কক্ষ পানিতে ডুবে রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন উঁচু সড়কে পাটি বিছিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, রোববার প্রথমদিন ৭০ শতাংশ ও সোমবার দ্বিতীয় দিনে ৬০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিলো। পানির কারণে বাঁশ-কাঠের তৈরি আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ডুবে থাকলেও গত দুইদিনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে বিমুখ করিনি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, অবহেলিত চরাঞ্চল এলাকার শিশুদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর কবির বলেন, খবর পেয়ে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রোমান্স আহমেদকে পরিদর্শনের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে ভবন পুনঃনির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ওই বিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষকে পরিবেশ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেদারপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নতুনচর এলাকায় সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে ৭৪ শতক জমির ওপর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। ২০১৩ সালের ১ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় করনের পর বিদ্যালয়ের নাম করন করা হয় “দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নবআদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” কিন্তু জাতীয় করণের আটবছর পার হলেও পাকা কোনো অ্যাকাডেমিক ভবন নেই শতাধিক শিক্ষার্থীর এ বিদ্যালয়ে।