সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত শিশু জাফনাথ সাঈদা জবাকে অপহরণের ৮ ঘন্টা পর ঢাকার মহাখালী থেকে উদ্বার করেছে পুলিশ। গত সোমবার গভীর রাতে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারের পর তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত কাজের মেয়ে শারমিনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতে অপহৃত শিশু জবার বাবা জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার সকালে অপহরণকারী শারমিনকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মোগরাপাড়া এলাকায় বসবাসরত নারায়ণগঞ্জের সরকারী তোলারাম কলেজে প্রভাষক উম্মে সালমা ও তার স্বামী মোঃ জহিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ আদালতের একজন আইনজীবী। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কর্মজীবী হওয়ায় শিশু জবাকে দেখাশোনা করার জন্য গত ২৫-২৬ দিন আগে লালমনিরহাট থেকে শারমিন নামের এক কাজের মেয়েকে মোগরাপাড়ার ভাড়া বাসায় তারা নিয়ে আসেন। গত রোববার বেলা সাড়ে তিনটা দিকে কাজের মেয়ে শারমিন কৌশলে জবাকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। জবাকে দীর্ঘ সময় দেখতে না পেয়ে বিষয়টি জবার মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি বাসার আশপাশে জবাকে খুঁজে না পেয়ে জবার বাবাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে জবার বাবা বিষয়টি সোনারগাঁ থানা পুলিশকে অবহিত করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশু জবাকে উদ্ধারে মাঠে নামেন।
ঘটনার পর অপহরণকারী শারমিনের মাকে রূপগঞ্জের তারাবো বিশ্বরোড এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ শুরুকরে পুলিশ। তার মায়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তেজগাঁও সাত তলা বস্তি এলাকায় উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। সেখানে শিশু জবাকে না পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালী ফ্লাইওভারের নীচ তলায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী শারমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে অপহৃত শিশু জবাকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত শিশু জবার বাবা অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম জানান, জবাকে হারিয়ে আমরা মানষিকভাবে পুরোপূরি ভেঙে পড়ি। পুলিশের তৎপরতায় আমরা জবাকে ফিরে পেয়েছি। শিশু জবাকে উদ্ধারে যারা সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
সোনারগাঁ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, অপহৃত শিশুকে ৮ ঘন্টা চেষ্টার পর উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।