ধমর্কে পুজিঁ করে পিরোজপুরের কয়েক হাজার ধর্মপ্রান মুসলিম গ্রাহকদের ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাকারি পিরোজপুরের মাল্টিপারপাস কোম্পানি এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুফতী মাওলানা রাগীব আহসান ও তার তিন সহোদর যতাক্রমে- মাওলানা আবুল বাশার, মোঃ খাইরুল ইসলাম ও মুফতি মাহমুদুল হাসানকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মহিউদ্দীন এ রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্র ও সরকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খান মো. আলাউদ্দিন জানান, পিরোজপুর জেলা সদরের রায়েরকাঠী এলাকার মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মুফতি রাগীব আহসানের পরিচালনাধীন এহসান রিয়েল এস্টেট এ- বিল্ডার্স লিমিটেড এর জমা ভাউচারে (বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া টাকা) অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ৯১ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯শ’ ৩৩ টাকা জমা দেয় এহসানের ফান্ডে। এ অবস্থায় চলতে থাকার পর কিছুদিন পর গ্রাহকরা তাদের মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে এহসান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে তাদের সঙ্গে তালবাহানা শুরু করে এবং এক পর্যায় রাতের আধাঁরে তাদের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গাঢাকা দেয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাগীব আহাসান ও তার তিন সহোদরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত ওই ৭ দিনেরই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বাসা থেকে এহসান গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মুফতী মাওলানা রাগীব আহসান ও তার সহোদর আবুল বাশারকে র্যাব সদস্যরা এবং পিরোজপুর থানা পুলিশ রাগীবের অপর দুই সহোদর মুফতী মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মোঃ খাইরুল ইসলামকে পিরোজপুরের খলিশাখালী নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।