নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিন রাজারামপুর গ্রামের মোহাম্মদীয়া মিয়া প্রকাশ রানীর মা (বাড়িতে) যৌতুকের টাকানা পেয়ে স্বামী, দেবর ও ননদ মিলে বিবি আমেনা (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্মম ভাবে চুলের মুঠি ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, এলাপাথাড়ী ভাবে চড় থাপ্পত এবং মাটিতে পেলে দিয়ে উপর্যপুরী লাথি ও কিলঘুষি মেরে আহত করার ঘটনার মামলায়। সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বামী আমির হোসেন (৪০) ও ননদ হাসিনা আক্তার (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত দেবর রফিকুল ইসলাম প্রকাশ এরশাদ (৩০) পলাতক রয়েছে।
রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী, দেবর ও ননদ সহ তিনজনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭ তারিখ ১২/০৯/২১ইং।
জানাগেছে, কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার রামদী চৌকিদার বাড়ির বিবি আমেনার সঙ্গে সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজামারপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদীয় বাড়ি প্রকাশ রানীর মা’র বাড়ির সফি উল্লাহ বড় ছেলে আমিন হোসেনের সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা ২লাখ টাকা যৌতুক বাদী করে আসছিল। ওই গৃহবধূ পিতার বাড়ি থেকে যৌতুকের ২লাখ টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে স্বামী আমির হোসেন, দেবর রফিকুল ইসলাম এরশাদ ও ননদ হাসিনা আক্তার মিলে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ বিবি আমেনাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় চুলের মুঠি ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, এলাপাথাড়ী ভাবে চড় থাপ্পত এবং মাটিতে পেলে দিয়ে উপর্যপুরী লাথি ও কিলঘুষি মেরে আহত করে। ওই নির্যানের ১মিনিট ১৭ সেকেন্ড ভিডিওটি রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ভাইরাল হওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের নির্দেশে সেনবাগ থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা সোমবার বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃতদের বিকেলে নোযাখালী বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।