শেরপুরের নকলা উপজেলার কুর্শাবাদাগৗড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, নকলা পৌরসভার সাবেক মেয়র, চন্দ্রকোনা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান (৬১) রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা পিজি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি করোনাসহ ফুসফুসের জটিল রোগে ভুগছিলেন বলে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী জানান। নির্বাচন ভক্ত এই মানুষটি আর কোনদিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারবেন না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এ জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী শেরপুর-২ আসনের এমপি মতিয়া চৌধুরী মুঠোফোনে এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অপরদিকে সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক মুঠোফোনে তার মৃতুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ জানাজা পূর্ব সমাবেশে আলোচনায় অংশ নেন নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, শেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ রফিকুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, নকলা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দীক, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, চন্দ্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ রফিকুল ইসলাম, সাবেক জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি রবিউল করিম মানিক, জেলা পরিষদের সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সাবেক ফুলপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সোহাগ ও মরহুমের একমাত্র ছেলে আদনান রহমান স্বচ্ছ। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোববার রাত সাড়ে নয়টায় নকলা সরকারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহুগুণগ্রাহি রেখে গেছেন।