লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে জাল দলিল সৃজন করে জমি নামজারির চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মো. মিরন ভূঁইয়া নামে ইউনিয়ন পরিষদের এক সচিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মিরন উপজেলার পূর্ব চরসীতা এলাকার আবু মাজেদ ভূঁইয়ার ছেলে এবং পাশর্^বর্তী কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরহাসান-হোসেন এলাকার মুজাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার খালাতো ভাই মিরন ভূঁইয়ার সহযোগিতায় সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকের সিল-স্বাক্ষর জাল করে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করেন। ওই দলিল দিয়ে গত বছর নামজারি খতিয়ানের জন্য আবেদন দেওয়া হলে ঘটনাটি খতিয়ানের অন্য ওয়ারিশদের নজরে আসে। এ ঘটনায় খতিয়ানের ওয়ারিশ উপজেলার পূর্ব চরসীতা এলাকার জালাল আহাম্মদের ছেলে আলা উদ্দিন সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনার সত্যতা মেলে। পরে আলাউদ্দিন আহমেদ বাদি হয়ে ২০২০ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর রামগতি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফেরদৌসি আক্তার ও মিরন ভূঁইয়াসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক তাদের মধ্যে প্রধান আসামি ফেরদৌসি ও মিরনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। পরে মিরন সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে অভিযুক্তরা তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করেছেন। একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র এ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ধরনের প্রতারণারোধে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
বাদি পক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের কৌঁসুলি জসিম উদ্দিন সুমন জানান, চার আসামির মধ্যে দুই নম্বর আসামি মিরন সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জালিয়াতির বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হওয়ায় বিচারক আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। প্রধান আসামি ফেরদৌসি পলাতক রয়েছেন।