ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের শরীফপুরে সপ্তাহিক সত্যের দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলী আজমকে মঙ্গলবার রবললা ১১টায় চাঁদাবাজি করার সময় শরীফপুর পুর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ৫ হাজার টাকা চাদা দাবী করে।এসময় শরীফপুর পুর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মো.হাবিবুর রহমান এক হাজার টাকা দিলে পাচ হাজার টাকা না দিলে পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক মো.হাবিবুর রহমানের বিরোদ্ধে সংবাদ করে দিবে।
প্রধান শিক্ষক মো.হাবিবুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন,মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ৯টায়, সত্যের দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলী আজম এবং আশিকুর রহমান রনি নামে দুইজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার স্কুলে যায়।এসময় আমার স্কুলে যাইতে একবটু দেরী হয়।স্কুলে গিয়ে দেখি আলী আজম এবং আশিকুর রহমান রনি আমার রুমে বসে আছে। আমাকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেখেই বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার কাছে বিশ হাজার টাকা চাদা দাবী করে। আমি বলি আমি আপনাদের টাকা দিব কেন।তারা বলে টাকা না দিলে পত্রিকায় খবর ছাপিয়ে দিলে আপনার চাকরী চলে যাবে।এ নিয়ে তারা দুইজন আমার কাছে এক ঘন্টা ধওে চেষ্টা করে টাকা দেওয়ার জন্য।আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার চাকুরী খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। ।এসময় আশেপাশের লোকজন আলী আজম এবং আশিকুর রহমান রনির তর্কবিতর্ক শুনে স্কুলে মাঠে আসে তাদের আটক করে। এতে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।এসময় কোন ফাকে আশিকুর রহমান রনি পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে আশুগঞ্জ থানায় খবর দিলে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই নুপুর সাহাকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। এস আই নুপুর সাহা ঘটনাস্থলে পৌছে সপ্তাহিক সত্যের দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলী আজমকে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থআনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজাদ রহমান বলেন,শিক্ষকের কাছে চাদাবাজির ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মালা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।