জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসার আবাসিক হল থেকে তিন শিক্ষার্থীর নিখোঁজের তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় বুধবার (১৫সেপ্টেম্বর) সকালে নিখোঁজ ছাত্রী মনিরা আক্তারের বাবা মো.মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে চার শিক্ষক ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে ইসলামপুর থানায় ২০১২সালের মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ফলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত চার মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাদ্রাসার পরিচালক মো.আসাদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক ইলিয়াস আহম্মেদ, রাবেয়া বেগম ও শুকরিয়া পারভীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনছাত্রীর নিখোঁজের গত তিন দিনে কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ। তাদের উদ্ধারের জন্য গত সোমবার রাতে ইসলামপুর থানার পুলিশ মাদ্রাসায় অভিযানে চালিয়ে তল্লাশি ও সকল শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহ ভাজন চার শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার সারা দিন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি) মাজেদুর রহমান। তিনি আরও জানান নিখোঁজ ছাত্রী মনিরা আক্তারের বাবা মো.মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মানবপাচার একটি মামলা দায়ের করায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) মো.সুমন মিয়া বলেন, তিন ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ বিভিন্ন সুত্র ধরে একাধিক দল মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ যে গত ১২ সেপ্টেম্বর (রোববার দিবাগত রাতে) ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদরাসা আবাসিক শিক্ষার্থী মীম আক্তার (৯), মনিরা আক্তার (১১) সূর্যবানু (১০) নামে তিন ছাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে মাদ্রাসার পরিচালক সোমবার বিকেলে ইসলামপুর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।