মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় মো. মীম হোসেন (২৪) নামের এক যুবক রক্তাক্ত জখম গুরুতর আহত হয়েছে। ঐ যুবক বর্তমানে চিকিৎসা অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আহত মো. মীম হোসেন হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিচর মধ্যে পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল সাত্তারের ছেলে।
বুধবার দুপুরে ইসমানিচর মধ্যে পাড়ায় অবস্থিত কেজি স্কুলের সামনে এঘটনা ঘটে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে এক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থনকারী স্থানীয় সন্ত্রাসী আতাউর রহমান(২৮) নেতৃত্বে সংগ্রাম, আলী হোসেন, শুভসহ অজ্ঞাত ১৪/১৫ জন সন্ত্রাসী
মো. মীম হোসেন কে বাড়ি থেকে কেজি স্কুলে ডেকে নিয়ে তার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। হামলায় আতাউর রহমানের সাথে থাকা হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় মো. মীম হোসেন।
এসময় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও রড দিয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে মীম হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঐ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে এবং সন্ত্রাসীরা মীম হোসেন মৃত্যু হয়েছে মনে করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তৎক্ষনাৎ পথচারীরা মীম হোসেন কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মীম হোসেনের অবস্থা বেগতিক দেখে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
আহত মীম হোসেন বর্তমানে আইসিউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহত ব্যক্তির বাবা আব্দুল সাত্তার।
তিনি জানান, আমরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি কিন্তু যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আগে চিকিৎসা করাই পরে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও জানান, আমার ছেলে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত না। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের পক্ষে কাজ করার জন্য বলে। আমার ছেলে তাদের কথা শোনে নাই বলে সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
উপরোক্ত ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন কে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।