নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কিশোরীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানোর অভিযোগে ফাতেমা খাতুন (৪৩) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহ:স্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার দক্ষিণপাড়া মুজিবনগর আবাসন এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ও ফাতেমা’কে আটক করা হয়। আটক ফাতেমা পৌরসভার চরমোক্তারপাড়া এলাকার আবুল কাশেম এর স্ত্রী।
থানার অভিযোগ ও ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, মাদারীপুর জেলার, রাজৈর থানার চৌরাশি বাজিতপুর গ্রামে বসবাস করতেন ঐ কিশোরী। বিগত এক বছর পুর্বে বাবার সাথে অভিমান করে চাকুরী করার উদ্দ্যেশ্যে মিতু আক্তার নামের তার এক বান্ধবী এর কাছে ঢাকায় চলে আসে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ সে বান্ধবীর সাথে ফাতেমার অন্য এক আত্মীয়ের পরিচয়ের সুত্রে আমাকে দুর্গাপুরে মোটা অঙ্কের বেতনে বাসা বাড়ীতে চাকরি দিবে বলে ফাতেমার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এই বাসায় এসে জানতে পারি যে সে বিভিন্ন এলাকা থেকে সহজ সরল কিশোরী ও কলেজ পড়–য়া গরীব ছাত্রীদের এনে পতিতাবৃত্তি করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এই বাসায় আসার পর থেকে ফাতেমা বিভিন্ন সময় তার বাড়ীর গোপন কক্ষে পতিতাবৃত্তি করানোর জন্য জোর করলে আমি এতে রাজি না হলে প্রায়ই আমাকে মারপিট করতো। মারপিট ও নানা হুমকীর মুখে অসুস্থ্য হয়েও একপর্যায়ে বাধ্য হই পতিতাবৃত্তিতে। বৃহস্পতিবার(১৬সেপ্টেম্বর)বিকেলে আমাকে পতিতাবৃত্তি করতে চাপসৃস্টি করলে আমি কৌশলে দক্ষিনপাড়া আবাসন এলাকায় পালিয়ে গিয়ে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের বিষয়টি খুলে বলি। আমার খোজে এক পর্যায়ে আবাসন এলাকায় ফাতেমা হাজির হলে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয় সেখান থেকে ফাতেমা’কে আটক করে পুলিশ।
এ নিয়ে অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) শাহ নুর এ-আলম প্রতিনিধি’কে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ফোর্স পাঠিয়ে ঐ কিশোরীকে উদ্ধারসহ ফাতেমা’কে আটক করে মানবপাচার আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরী’েক তার বোনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।