শিক্ষাই জাতির উন্নয়নের চাবি-কাটি। অথচ আর সেই বিদ্যালয়ের এখন বেহাল আবস্থা। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ ১নং ওয়ার্ডস্থ জোয়ারা বাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পরিত্যক্ত রুমেই চলছে পাঠদান। যে কোন মুহুত্বে দুর্ঘটনার ্আশঙ্কায় দিশাহারা অভিভাবকরা। ১৯২১সালে প্রতিষ্টিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। আর এসব কোমলমতি শিশুরা অনেকটা জীবনের ঝুকি নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে পড়াশুনা করছেন। তখনকার সময়ের নির্মিত সেমিপাকা বিদ্যালয়টি বিগত ২০১০সালে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট এক তলা পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। তম্মধ্যে একটি কক্ষ অফিস রুম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বাকি ৩ কক্ষে ছাত্র ছাত্রীর সঙ্কুলন না হওয়ায় ১ম ও ৩য় শ্রেনীর পাঠদান পুরাতন জরাজীর্ণ রুম বা কক্ষে নেওয়া হচ্ছে। যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থা। টিনের ছাউনিগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। বর্ষাকালে কক্ষে বৃষ্টি পড়ার কারণে ওইসব শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদেরকে। স্থানীয় বাসিন্দা বা অভিভাবক বাবুল দাশ ও দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন,জোয়ারা এই হিন্দু পাড়া অধ্যাষিত এলাকায় প্রায় হাজার পরিবারের বসবাস। কিন্তু মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তাতে আমাদের ছেলে মেয়েকে ঝুঁিকর মধ্যে রেখে পড়াশুনা করাতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষনে থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেবী সরকার বলেন ,ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্কুলন না হওয়া বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত রুমে ক্লাস নিতে হচ্ছে। বেশ কয়েক বার উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কোন সংস্কার করা হয়নি। উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা হাছান আল মামুন বলেন, বিদ্যালয়ের অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে আছে নতুন ভবন করার মতো কোন জায়গা নেই। জায়গা উদ্ধার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। ্এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।