কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে বেশ কয়েকটি বাড়ীতে চিড়কুট লিখে টাকাসহ স্টাপলার লাগিয়ে দরজায় দরজায় রেখে যাওয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রাতের আঁধারে রেখে যাওয়া চিড়কুট ও টাকা সকালে দরজা খুলে পেয়ে হতবাক বাড়ীর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর এলাকার সুখাতি ভাটিয়াটারী গ্রামে। এটি রসিকতা না অন্য কিছু এনিয়ে চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, কথাটি আমার কানেও এসেছে। কে বা কারা এসব কাজ করেছে তা বোধগম্য নয়।
পৌরসভা এলাকার সুখাতি ভাটিয়াটারী গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাতের খাওয়া শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আধাঘন্টা পর হঠাৎ বাড়ীতে মানুষের পায়ের শব্দ পেয়ে উঠে পরি। দরজা খোলার শব্দে একজনকে ছুটে বের হয়ে যেতে দেখি। কিছুক্ষণ পিছু নিয়েও তাকে হারিয়ে ফেলি। পরে ফিরে এসে দেখি দরজার মধ্যে একটি চিড়কুট পরে আছে। তার সাথে ১০০টাকার একটি নোট স্টাপলার দিয়ে আটকানো। চিড়কুটে লেখা ‘‘এই টাকাটা ক্ষতি করেছি মাফ করে দিবেন।’’ পরে খোঁজ নিয়ে দেখি আরও ৪জনের বাড়ীতে এমনভাবে টাকা ও চিড়কুট লিখে গেছে। তারা হলেন একই এলাকার আবু বকরের ছেলে আবদুল বারেক’র ঘরের দরজায় ১০টাকা, ঈসমাইলের ছেলে আবদুস ছাত্তারের ঘরের দরজায় ৫০ টাকা, মৃত: শমসের আলীর ছেলে সাইদুরের ঘরের দরজায় ৩০ টাকা এবং ছফর আলীর ছেলে মজনু মিয়ার ঘরের দরজায় ১০০টাকা।
ঘটনাটি আশপাশে ছড়িয়ে পরলে মূহুর্তের মধ্যে উৎসুক জনতা ভীড় জমায় সেখানে। এটি কার কান্ড তাই নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। তবে পাঁচ জনের কেউই মনে করতে পারেননি এই ধরণের টাকার ক্ষতি তারা কারো কাছে করেছেন কিনা। ফলে চিন্তায় পরে গেছে ওই বাড়ির লোকজন। এটি নিছক রসিকতা না অন্য কিছু এই নিয়ে বিভ্রান্ত সবাই।
এ ব্যাপারে নাগেশ^রী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. নবিউল হাসান জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি।