শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ হাতেম আলী করোনা কালিন দূযোর্গ সময়ে শিক্ষক কর্মচারীদের এক দিনের মূল বেতনের অংশ নগদ টাকা উত্তোলন করে ব্যাংক জমা স্লীপ দুই বছরেরও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে জমা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাধ্যমিক অফিস ও মাদরাসা শিক্ষকবৃন্দ।
সূত্রে জানা গেছে, মহামারী করোনা কালিন সময়ে দেশের ক্লান্তিকালে সরকার ঘোষিত দেশের সকল মাদরাসা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ হতে একদিনের মূল বেতনের একটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে জমা করেছেন। সেই অনুযায়ী শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ হাতেম আলী করোনা কালিন সময়ে শিক্ষক কর্মচারীর এক দিনের মূল বেতনের অংশ নগদ টাকা ১২ হাজার টাকা তুলে নিলেও সেই টাকার ব্যাংক স্লীপ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দুই বছরেরও জমা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদরাসা শিক্ষকবৃন্দ ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিস।
নিশ্চিন্তপুর আলিম মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, আমরা করোনা কালিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার জন্য শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ হতে ১দিনের মূল বেতনের অংশ নগদ ১২ হাজার টাকা নিশিন্তপুর আলিম মাদারাসার অধ্যক্ষ হাতেম আলী কে বুঝিয়ে দেই। কিন্তু সেই টাকার ব্যাংক স্লীপ দুই বছরেও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে তা জমা করেনি। এদিকে নিশ্চিন্তপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ হাতেম আলীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, উপজেলার সকল মাদরাসার টাকা জমা হলেও এই নিশিন্তপুর আলিম মাদারাসার অধ্যক্ষ মোঃ হাতেম আলী করোনা কালিন সময়ে শিক্ষক কর্মচারীর এক দিনের মূল বেতনের অংশ নগদ টাকা ১২ হাজার টাকার ব্যাংক স্লীপ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দুই বছরেরও জমা করেনি। তাকে অফিস থেকে বারবার বলা হলেও সে এই বিষয়ে কোন কর্নপাত করেনি।