পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস বাজারের জিরো পয়েন্ট থেকে কলবাড়ী বাজার হয়ে ভক্তবাড়ী সড়কটির বেহাল দশা। এতে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীসহ স্কু-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে। মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যবসায়ীরা এ রাস্তা দিয়ে মালমাল পরিবহন করে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও শাকসবজি বোর্ড অফিস বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম এ রাস্তাটি। রাস্তাটি বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। বিটুমিন ও খোয়া উঠে গর্তে পরিনত হয়েছে। অটোরিকশা ভ্যান, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার এমন বেহাল অবস্থার কারণে গত জুন মাসের প্রথম দিকে এক গর্ভবতী মহিলাকে চিকিৎসার জন্য দুমকি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিশ্রুতি মিলেছে অনেক, তবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ১০.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার ৬ কিলোমিটার কলবাড়ি বাজার পর্যন্ত আ¤পান প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হবে এবং কলবাড়ি বাজার থেকে ১ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় আগষ্টের সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং বাকি রাস্তা পরবর্তীতে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয় জনগন। এ প্রসঙ্গে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান শিকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। রাস্তা মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মেপে গেছেন। অচিরেই মেরামতের কাজ শুরু হবে। এছাড়াও তিনি ৯নং ওয়ার্ডের সন্তোষদী লঞ্চঘাট-নেঘাবান বাড়ি পর্যন্ত ওয়াপদা বেড়িবাঁধের কাঁচা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের কাছে। অবিলম্বে সংস্কার করা না গেলে শত শত একর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।