বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলে গাইঞ্জা ধান চাষের ধুম পরেছে। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধা পর্যন্ত ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চরের চাষীরা। এরইমধ্যে ২ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে চাষীরা রোপন সম্পন্ন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী, হাটশেরপুর, কাজলা, কর্ণিবাড়ী ও বোহাইল ইউনিয়নের চাষীরা ব্যাপক হারে রোপন শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধানের আবাদ। কয়েকদিন আগেই যমুনা নদীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উর্বর পলি ও নরম কাদা যুক্ত মাটিতে কোন রকমের হাল চাষ ছাড়াই চাষীরা গাইঞ্জা ধানের চারা রোপন করছেন। অনেক কৃষকই জমিতে গাইঞ্জা ধান চারা রোপন কাজ শেষ করেছেন। উপজেলার চরাঞ্চলে এবার ৩ হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তররের কর্মকর্তারা জানান, এবার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে তিন হাজার হেক্টর জমি। চাষীরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উঁচু, নিচু, ঢালু চরে চারা গাছ রোপন শুরু করেছিলেন। এরইমধ্যে প্রায় ২ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে রোপন কাজ সম্পন্ন করেছেন।
সদর ইউনিয়নের চর চাটিয়া গ্রামের চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবার দেড় বিঘা জমিতে গাইঞ্জা ধানের চাষ করেছি। চারা গাছের দাম তুলনামূলক এবার বেশি। এক বিঘা জমিতে প্রায় তিন হাজার টাকার চারা গাছ লেগেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবদুল হালিম বলেন, গত বছর এ ধানের আবাদ করার ক্ষেত্রে আমরা চারা গাছ বিনা মূল্যে দিয়েছিলাম। তবে এবার তা নেই। কৃষকদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য আমরা কাজ করছি।