তিন হাজার ৯৩৯ কোভিড-রোগীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে ১কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম এবং দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদকের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন এফএনএস প্রতিবেদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চার্জশিটে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন।
মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে আসামি না করা হলেও তদন্তে এমওইউ রিসিভিশনের মাধ্যমে হাসপাতালের নার্স,ডাক্তার এবং কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বাবদ ১কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিল পাঠানোের উদ্যোগ গ্রহনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবে দুদক।
চলতি সপ্তাহেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।
মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম।
অনুমোদিত অভিযোগপত্রে ছয় বছর ধরে নবায়ন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে কোভিড চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা চুক্তিকে অবৈধ বলা হয়েছে। এ অবৈধ চুক্তির ওপর নির্ভর করেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।
অভিযোগপত্রে সাবেক ডিজি আজাদ এবং রিজেন্টের সাহেদ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানান দুদক সচিব ড.মো.আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।