সাতক্ষীরার কলারোয়ার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা ৪টি, নৌকার বিদ্রোহী ৫টিতে ও বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী ১টি জয়ী হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর ১ম ধাপের অবশিষ্ট ১৬১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলারোয়া উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিশাখা তপন সাহা ২৭০৩ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়দেব শাহা ২২৬৭ ভোট পেয়েছেন। ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান নিশান আনারস প্রতীক নিয়ে ৫৬৮৪ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ৩৫০৩ ভোট। ৩নং কয়লা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ সোহেল রানা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ২৪৭৮ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাস্টার আসাদুজ্জামান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৬৭ ভোট। ৪নং লাঙলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে অধ্যাপক এম এ কালাম ৪২৮৭ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাস্টার নুরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৫৮ ভোট। ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আফজাল হোসেন হাবিল ৮টি কেন্দ্রে পেয়েছেন ৪৬৯৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ভুট্টো লাল গাইন পেয়েছেন ৩২৮৪ ভোট। ফলাফল অসমাপ্ত। (১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ার কারণে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি কেড়াগাছি ইউনিয়নে)। ৬নং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেনজির হোসেন হেলাল ৭৭৫৫ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭৭৯ভোট। ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের ডালিম হোসেন ৬৮৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৪৫৫১ ভোট। ৯নং হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদে (ইভিএম) বিদ্রোহী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মোয়াজ্জেম হোসেন ৬৪৮০ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামাত) আবু তালেব পেয়েছেন ৪৯৩৯ ভোট। ১১নং দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান মফে ৩৬৪৬ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন পেয়েছেন ৩৩৭১ ভোট। ১২নং যুগীখালি ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে রবিউল হাসান ৭৪১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অজিয়ার রহমান পেয়েছেন ৫৬৩ ভোট। উল্লেখ্য-কলারোয়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯১টি, ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৮৮ টি। পুরুষ ভোটার ৭১৭৭৪জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭২৬৯৬ জন মোট ভোটার ১৪৪৪৭০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১৭৭৪ ও মহিলা ভোটার ৭২৬৯৬। ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫জন সরকারি কর্মকর্তাকে ২টি করে ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। ১নং জয়নগর ও ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.নুরে আলম নাহিদ, ৩নং কয়লা ও ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস, ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ও ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, ৬নং সোনাবাড়িয়া ও ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ এবং ১১নং দেয়াড়া ও ১২নং যুগিখালী ইউনিয়নে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএমএ সোহেল।