গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ইতোমধ্যে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পূজার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ম-পে ম-পে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এবার দেবীদুর্গা আসছেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে এবং যাবেন দৌলায় (পালকি) চড়ে। কুষ্টিয়া জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের তথ্য মতে, এবারে ১১২টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে গোবিন্দগঞ্জে চলছে প্রস্তুতি। মন্দির ও ম-পের সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও মৃৎশিল্পীরাসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা।
পূজা জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের একাধিক নেতা জানান, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহর সহ এবারে সার্বজনীন ১২০ টি পূজা মন্ডপ থাকলেও নানা কারণে ১১২ টি মন্ডপে পূজা হয়েছে। গতবারের ন্যায় এবারও ১১২টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা সহ সকল পূজা-মন্ডপের শান্তি-শৃঙখলা,ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন এবং পরিবেশ রক্ষায় পূজা-কমিটির সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করবেন"।
অপরদিকে কারিগর ও মৃৎশিল্পীরাসহ আয়োজক কমিটির মতে গতবারের থেকে নতুন আঙ্গিকে এবারে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তারা। আবার অনেকেই ভারতীয় আদলেও প্রতিমা তৈরি করছেন। কেউ বা চেষ্টা করছে মা দুর্গাকে বাঙালি সাজে সাজিয়ে তোলার। তবে কাঁচামালের দাম বাড়ায় এবার প্রতিমা তৈরিতে গতবছরের থেকে খরচ বাড়বে বলে জানিয়েছেন দুর্গা প্রতিমার কারিগররা। চাহিদামত প্রতিমাকে গড়ে তুলতে চেষ্টার কোনো কমতি নেই। প্রতিমাশিল্পীরা আরো জানান, প্রতিমা তৈরিতে মুলত মাটি, বাঁশ-খড়, দড়ি, লোহা, ধানের কুঁড়া, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়। প্রতিমা গড়া শেষ হলে রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয় অবয়ব। তবে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ায় এবার প্রতিমা তৈরিতে খরচ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের। বছরের অন্যান্য সময় তেমন কাজ না থাকলেও এই সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তবে সময়ের সাথে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুযায়ী প্রতিমা তৈরির মজুরি বাড়েনি।