মানহানির জন্য বিভ্রান্তিকর কাল্পনিক ও মিথ্যে তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জন্য বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে সাতজনকে আসামি করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মৌজে আলী খান একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা মৌজে আলী খান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওইদিন সকালে তার দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে বিমানবন্দর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, নগরীর বাসিন্দা শামীম হোসেন শেখ, বেল্লাল হোসেন, মারুফ হোসেন, এবায়দুল হক তুহিন, অনিক ইসলাম রানা, সাইদুর রহমান মাসুদ ও মোস্তফা কামাল জুয়েল। মামলায় মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করেন, উল্লিখিত আসামিরা একত্র হয়ে বিভিন্ন লোকের সম্পত্তি নানানভাবে জিম্মি করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়াই তাদের নেশা ও পেশা। তাই আসামিরা সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। এ ছাড়া আসামিরা তাদের অনলাইন পত্রিকা ও ফেসবুকে মিথ্যে মানহানিকর, বিভ্রান্তিমুলক ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে।
মেজর হাফিজের জামিন ॥ ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম-কে জামিন দিয়েছেন বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ট্রাইব্যুনালের বিচার গোলাম ফারুক জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এজাহারে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোলার লালমোহন থানার বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়াম্যান ফরিদুল হক বাদি হয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বর্ণনায় তিনি বলেন, মামলার দুই নম্বর আসামি একই এলাকার বাবুল হাওলাদারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মেজর হাফিজ। ওই ফোনালাপে আপত্তিকর কথাবার্তা ছিলো, যা দ্বারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ফরিদুল হক মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।