কেশবপুরে দোকান ঘরের ভাড়াটিয়ারা ভাড়ার টাকা না দিয়ে, চুক্তিপত্র নবায়ন না করে জোর পূর্বক দোকানে পজিশন স্থায়ীভাবে দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার দেওলী গ্রামের মোঃ লুতফুর রহমান কেশবপুর ৭২ নং মৌজায়র মধ্যকুল গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ সরকারের পুত্র কার্তিক চন্দ্র সরকারের নিকট হতে কবলা মূলে এস এ ১৩৯৯ খতিয়ানের ৮ শতক জমি ক্রয় করে। যার দলিল নং ২৬০৭/১৯৮৬ তারিখ ২১/০৩/১৯৮৬। তফসিল বর্নিত জমির বর্তমান মালিক তাঁর পুত্র মোঃ এনামুল হক। জমির বর্তমান পজিশন কেশবপুর মধুসূদন সড়কের নিক্সন মার্কেটের সামনে। এনামুল হক তার জমিতে দোকান ঘর তৈরী করে ননজুডিশিয়াল ষ্টা¤েপ চুক্তি পত্রের মাধ্যমে দুই বছর মেয়াদে শর্ত সাপেক্ষে দোকান ঘর ভাড়া দেয়। দোকানের বর্তমান ব্যবসায়ীর হলেন আলতাপোল গ্রামের আইয়ুব হোসেন, অরুণ কুমার পাল,বরুণ কুমার পাল, মোঃ কামরুল ইসলাম ও মোঃ শাহাবুদ্দিন। তারা নিয়মিত দোকানের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতো। শর্তঅনুযায়ী চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন চুক্তি পত্র তৈরী না করে,কোনো ভাড়ার টাকা না দিয়ে তারা এখন দোকান ঘর নিজেদের নামে স্থায়ী ভাবে জবর দখল নেওয়ার পায়তারা করছে। তাদেরকে নতুন করে দোকানের চুক্তিপত্র নবায়ন করতে বললে বা ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে বললেই তারা দোকানের মালিককে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দোকানের বর্তমান দখলদার মালিকদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন আমরা দোকানের পূর্বের মালিকদের নিকট হতে পজিশন ক্রয়করে ব্যবসা করে আসছি। দোকানের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছে ও আদালতে মামলা চলছে। যারকারণে নতুন চুক্তি পত্র নবায়ন করছিনা ও ভাড়ার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত দোকানের কোনো চুক্তিপত্র তৈরী করা হবেনা ও ভাড়ার টাকা দেওয়া হবে না বলে তাঁরা জানিয়েছে।