বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদমদীঘি পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত পাঠদান চলছে। করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা অতি আনন্দের সাথে মনোযোগ সহকারে ক্লাস করছে। দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানে এসে তাদের সহ-পাঠিদের সাথে দেখা করা আর নিয়মিত ক্লাস করতে পারায় শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দিত। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা ভাবে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যাতে করে সরকারি নির্দেশনার কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। পাঠদানের জন্য প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আলাদা করে বেচিং বসিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ, টিস্যুসহ স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য উপ করণ। শ্রেণি কক্ষে একটি ব্রেঞ্চের দুই প্রান্তে দুই জন করে শিক্ষার্থী বসানো হচ্ছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো ফাস্ট ফুডের দোকান।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবদুস সালাম তালুকদার বলেন, আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে করোনায় সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি এবং শিক্ষার্থীদের কড়া নজরদারিতে রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে করে করোনা সংক্রমণ সহজে ঘটতে না পারে। অত্র প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এসে গভর্নিং বডির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আদমদীঘি উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বলেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের জন্য আমি অধ্যক্ষ কে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছি যাতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে। আদমদীঘি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, আমি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি। সেখানে যা দেখেছি সেটিকে মোটামুটি সন্তোষ জনক বলা যায়। বাকীটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি। বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হযরত আলী বলেন, আমি সহ আমরা কয়েকজন শিক্ষা কর্মকর্তা আদমদীঘি স্কুল এ- কলেজ পরিদর্শন করেছি। সেখানে উপস্থিতির হার মোটামুটি সন্তোষ জনক। এ সময় অত্র প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।