কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলাটি একমাত্র হাওড় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা এসে এই বাজার থেকে গরু, মহিষ ও ছাগল কিনে নিয়ে যান। এই জন্যে এই বাজারটি এক দশক ধরে বিখ্যাত বাজার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গরুর হাটে প্রতি সপ্তাহে গরু, ছাগল ও মহিষ বেচ-কেনা হয়। তবে ক্রেতারা বলছেন, এই বাজারের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে গরু, ছাগল ও মহিষের বাজার একেবারে চড়া। আর বিক্রেতারা বলছেন, গরুর চড়া দামের কারণে তারা গরু ছাগল কিনতে পারছেন না বলে মন্তব্য করছেন। জানাযায়, গত ১৮ মাস ধরে করোনা ভাইরাসের কারণে সাজনপুর গরুর হাটটি ছয়টি হাট বিভিন্ন কারণে বন্ধ ছিল। এ সময় এই বাজারে ইজারাদারদের আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছে। চলতি বছরে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা বাজারটি ডাক হয়েছে। তাদের ১৩ সমাজ মিলে এই বাজারটি পরিচালনা করে থাকেন। বুধবার বিকেলে সরেজমিন গেলে জানাযায়, মাঝারী ধরনের গরুর দাম খুব বেশী। সেই জন্য বিক্রেতারা এই ধরনের গরু কিনতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, বড় ধরনের গরু অর্থাৎ ১ লক্ষ টাকা অধিক দামের গরু একেবারে সস্তা রয়েছে। নাম প্রকাশ না শর্তে এই বাজারের একজন ইজারাদার এই প্রতিনিধিকে জানান, এখনতো চারিদিকে বিয়ের মৌসুম। গরুর দাম একটু বেশী বা কম থাকাটায় স্বাভাবিক। তবে তিনি বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কথায় গরুর বাজার তো চলে না। গরুর বাজার চলে তার স্বাভাবিক নিয়মে। গরুর বাজার মূলত এখন খুব ভালো অবস্থানে আছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদদীন জানান, গরুর বাজার মন্দা না ভালো এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।