রাজশাহীর পুঠিয়ায় ধর্ষণের পর বিধবা নারীকে নিশংস হত্যাকান্ডের দুইমাস পেরিয়ে গেলেও এর কোনো কুলকিনারা করতে পারেননি থানা পুলিশ। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি ভূক্তভোগির পরিবারের সদস্যরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। থানা পুলিশ বলছেন, ক্লুহীন মামলা গুলো তদন্ত কাজে কিছুটা সময় লাগে। তবে পুলিশের কোনো গাফলতি নেই। নিহতে ছেলে ও এই মামলার বাদী বলেন, দিনের বেলা ছাগল চড়াতে গিয়ে মা দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলেন। বিচার পাওয়া তো দুরের কথা, আজ পর্যন্ত অভিযুক্ত কে সেটাই জানতেই পারলাম না। আগে থানা থেকে পুলিশ মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়িতে আসতো। এখন তারা আসেন না আর কোনো খোঁজখবর করছেন না। প্রতিবেশী শামিমা বেগম বলেন, ভুক্তভোগি পরিবারটি এখন খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। নিহতের বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে শ্বশুড় বাড়িতে থাকে। তাদের বাড়িতে ছোট তিনটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তাদের বাবা আগে মারা গিয়েছেন। এরা সবাই বাচ্চা মানুষ। তারা নিজেরাই ভালো করে বুঝতে শিখেনি। আর এই মামলার তদারিক করতে না পারলে, এক সময় এটা ধামাচাপাই পড়ে যাবে। বিষয়টি পুলিশকে গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে। এ ঘটনায় প্রকৃত আসামীর বিচার না হলে আগামীতে হয়তো আরো বড় কোনো অপরাধ করবে।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত ওই নারীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে তেমন কোনো আগ্রগতি হয়নি। তবে ঘটনার একটি ক্লু ধরে আমরা তদন্ত করছি। আশা করছি এতে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও আটক করতে সক্ষম হবো। তবে এই মামলার তদন্তে আমাদের কোনো গাফলতি নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই বিকেলে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া-কারিগরপাড়া গ্রামের বিধবা নারী (৪৫) বাড়ির অদুরে ছাগল চড়াতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরেননি। ওই রাতেই পরিবারের লোকজন একটি পাটখেতে তার বিবস্ত্র ও ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগির পরিবার ও থানা পুলিশ ধারনা করেছেন ওই নারীকে ধর্ষনের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পরেরদিন নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।