কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চাষিরা এবার আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। দুই দফা বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে বেশির ভাগ জমির রোপনকৃত আমন ক্ষেত ও বীজতলা। নতুন করে বীজতলা তৈরি করারও অবস্থা নেই। ফলে চারার সংকটে দুরদুরান্ত থেকে চড়ামুল্যে চারা সংগ্রহ করে রোপা আমন রোপন করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের প্রাত্রখাতা,খরখরিয়া,জোড়গাছ, থানাহাট ইউনিয়নের মাইলডাঙ্গা,নাউয়ের ডাবরি,চাচলারবিল,শান্তিনগর, রানীগঞ ইউনিয়নের কোদালধোয়ার পাড়,কয়ারপাড়,চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি, করাইবরিশাল,নয়ারহাট ইউনিয়নের বান্ডালেরচর,বড়চর, অষ্টমীরচর ইউনিয়নের গয়নার পটল,নটারকান্দি,ডাডিয়ারচর,খোদ্দবাঁশ পাতারি গ্রামে বন্যায় পানিতে দীর্ঘদিন ডুবে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত আমনের খেতে পচে যাওয়া চারা পড়ে আছে। কোনো স্থানে বীজতলা নেই। রমনা পত্রখাতা এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় আমার ১বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ৫ শতাংশ জমিতে বীজতলা ছিল বন্যায় তাও নষ্ট হয়ে গেছে। ১০ হাজার টাকায় একবিঘা জমি রোপনের জন্য চারা কিনেছি।
থানাহাট ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার কৃষক অহিজল ইসলাম জানান,এবাপারে বন্যায় আমার জমিতে রোপা আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে বাজারে চারা কিনতে এসেছিলাম দাম বেশি হওয়ায় ফিরে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষান দাস জানান, এবারের বন্যায় ৩ হাজার ২শত১৮ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও ৪০ হেক্টর বীজতলা সম্পুণ নষ্ট হয়ে গেছে। চারার সংকটে যেসব জমিতে রোপা-আমন চাষ করা যাচ্ছে না সেসব জমিতে রবি শস্যের চাষ করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।