হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরশহরে প্রবাস ফেরৎ মহিলাকে গণধর্ষনের অভিযোগে কথিত প্রেমিক ও মহিলাসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করেন। গ্রেফতারকৃতরা হল-মাধবপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাধবপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস আলী পাঠানের ছেলে বাদশা পাঠান, মোঃ সোয়াব মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া, কাটিয়ারা গ্রামের মাহবুব মিয়ার মেয়ে লাকী আক্তার ও বিজয়নগর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামের আবু সায়েদ মিয়ার ছেলে আতিক মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়-উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের জনৈক প্রবাস ফেরৎ মহিলা (২৬)’র সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামের সায়েদ মিয়ার ছেলে আতিকের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেমে রুপ নেয় তাদেও সর্ম্পক। বুধবার সকালে ওই মহিলাকে ফোনে মাধবপুর আসার জন্য বলে। প্রেমিকের আহবানে সাড়া দিয়ে ওই মহিলা মাধবপুর বাজারে আসে। এরপর তারা একান্তে সময় কাঠানোর জন্য পৌর শহরের কাটিয়ারা গ্রামের লাকী আক্তারের বাসায় ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে একটি কক্ষে উঠেন। পরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন কথিত প্রেমিক আতিক। ওই সময় তাদের উভয়কে আপত্তির অবস্থায় দেখতে পায় বাদশা পাঠান ও জীবন মিয়া। তারাও ওই মহিলাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কোন রকম নিজেকে উদ্ধার করে ওই থানা পুলিশকে জানায় পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। অভিযোগ রয়েছে ওই লাকি আক্তার বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদেও এনে তার বাসায় অনৈতিক কাজ করাতেন। এর আগেও কয়েক বার লাশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এ ব্যাপাওে থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান- এ ব্যাপাওে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। এবং বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদও আধূনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।