ঢাকা থেকে আগত দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের হামলায় দুই যাত্রীর নিহত হয়েছে। এ সময় মারাত্বক আহত হয়েছে আরো ১জন। আহত রোবেল(২২)কে জামালপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানাযায় বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার পর কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছেড়ে আসার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের হামলায় নিহত দু’জন যাত্রীর মধ্যে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী মিতালী বাজার এলাকার বাসিন্দা ওয়াহেদ আলীর ছেলে নাহিদ(২৫) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের(২৬) বছর বয়সী অপর একজনসহ ২ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জেলার ইসলামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের হীরু মিয়ার ছেলে রুবেল (২২)।
ট্রেনের যাত্রী প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক নামের এক যুবক জানান, ঐদিন বিকেলে তারা ঢাকা থেকে কমিউটার ট্রেনের ছাদে উঠে জামালপুরে আসছিলেন। ট্রেনটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ৪/৫ জনের ডাকাতদলের কবলে পড়ে। ডাকাতরা নিহত নাহিদসহ বিভিন্ন যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন লুট করে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে আসে। ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছাড়ার পর নিহত নাহিদসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের খুঁজতে থাকে। এ সময় ডাকাতদের চিনতে পারায় কিছু বুঝে উঠার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ট্রেন যাত্রী নাহিদ, অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি এবং রুবেল এই তিনজন গুরুতর আহত হয়ে ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকে। জৈনক্য এক যাত্রী ট্রেনের জানালা দিয়ে রক্তের ফোটা দেখে গাড়ি থাকা এক নিরাপত্তা কর্মীদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ট্রেনটি নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনের ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ৩জনকে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় ট্রেনটি দ্রুতগতিতে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে জামালপুর রেলওয়ে থানার এসআই মিলন মিয়ার নেতৃত্বে ঐ ৩ যাত্রীকে ছাঁদ থেকে নামিয়ে দ্রুত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মো. জাকিউল আলম খান তিনি নাহিদ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরযাত্রী রুবেলকে হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা ডাকাত দল বা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে নিহত দুই ব্যক্তির মরদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।