কিশোরগঞ্জ এর বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মীরাকান্দি গ্রামের জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে তিন সন্তানের জনক মোঃ ইসলাম উদ্দিন (৪৫) তার প্রতিপক্ষ জুনাইদ মিয়া সহ ১০/১৫ জন লোকের দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে হামলা চালানোর ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় (ইসলাম উদ্দিন) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এই ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় জুনাইদ মিয়া, মুঞ্জিল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সজিব মিয়া, ফরহাদ মিয়া, নজরুল ইসলাম, মালেক মিয়া সহ ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। কিন্তু ইসলাম হত্যাকান্ডের ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০:৩০ দিকে ইসলাম উদ্দিন তার নিজের জমিতে সার দিতে গেলে প্রতিপক্ষ জুনাইদ মিয়া,মুঞ্জিল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সজিব মিয়া, ফরহাদ মিয়া, নজরুল ইসলাম, মালেক মিয়া সহ ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে হামলা চালালে অন্তত চার জন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে মোঃ ইসলাম উদ্দিন (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মারা যান। এদের মধ্যে মোঃ ইসরাইল মিয়া, জিল্লু মিয়া, বাচ্চু মিয়া এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসলেও তারা এখনও স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারছে না। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও তার বাপ দাদারা ১ একর ৪২ শতাংশ জমি গত ৪০ বছর ধরে চাষ করে আসছেন। মালেক গংরা নিহত ইসলাম উদ্দিন গংদের বাধা প্রদান করে আসছেন। নিহত ইসলাম উদ্দিনের নিজের জমি কোর্ট থেকে দুই বার রায় পেলেও কোর্টের রায়কে মালেক গংরা জোর পূর্বক ভাবে এলাকার প্রভাবশালী লোকদের নিয়ে জবর দখল করে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইসলাম উদ্দিন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের প্রক্রিয়া নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।