জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক, বড়াকোঠা এবং ওটরা ইউনিয়নে একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৩ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয়জন নারী, দুইজন শিক্ষার্থী, পাঁচজন বৃদ্ধা আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে শোলক এলাকার বাসিন্দা অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূ খাদিজা বেগম (২৭), বৃদ্ধা বকুল বেগম (৭০), রেকসোনা বেগম (৩৫), শিক্ষার্থী শামমি মল্লিক (১২), আলামিন ঢালী (১৭), ওটরা এলাকার রশিদ মোল্লা (৬০), কালাম হাওলাদার (৫০), বড়াকোঠা এলাকার পারভীন বেগম (৩৫) উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যান্যরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য বরিশাল সদর হাসপাতালে গেছেন। এ ঘটনার পর ওইসব এলাকায় জনসাধারণনের মাঝে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুকুরে কামড়ানোর পর অনেকেই হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় তাদের বরিশাল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস বলেন, উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় রোগীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর মারা বন্ধ থাকায় রাস্তা-ঘাটের সর্বত্রই এখন পাগলা কুকুরের উৎপাত বেড়ে চলেছে।