বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প এর আওতায় মৎস্য চাষীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে উপজেলার আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রে উপজেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় উপপ্রকল্প পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন,সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, ইউপি সদস্য সঞ্জয় রায়, মার্থা হালদার প্রমুখ।
উপপ্রকল্প পরিচালক মো.নাসির উদ্দিন পরে উপজেলার রাজিহার গ্রামের ৩টি প্রদর্শনী পুকুর (কার্পগলদা মিশ্র চাষ, পাবদা, কার্প নার্সারী) পরিদর্শন করেন।
ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প-এর উপপ্রকল্প পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মাছ উৎপাদন ও আহরণে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। স্বাদু পানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে দ্বিতীয় স্থানে ও বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পটি সারাদেশে মৎস্য চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।
তবে ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণের ধারণা একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। মাছ চাষের আধুনিক কলাকৌশল ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং চাষিদের সমস্যা জেনে তার প্রতিকার করা বা উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে সমস্যা নিরসন করা। প্রতিনিয়ত উদ্ভাবিত নুতন নুতন প্রযুক্তি মৎস্য চাষীদের নিকট হস্তান্তর করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করার আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। এ বাস্তবতার আলোকে গ্রাম পর্যায়ে ফলাফল প্রদর্শনী খামার স্থাপন এবং চাষীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবাকে জনগণের দোরগড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রকল্পটির কার্যক্রম প্রনয়ণ করা হয়েছে। যার সাফল্য এখন দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে।