পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হওয়া অনেক নারীরই সাধারণ একটি সমস্যা। তবে একেক জনের ব্যথার ধরণ একেক রকম হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা সহনীয় হয় আবার অনেকের সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। সেক্ষেত্রে মাসের ওই সময়ে কয়েকটি খাবারের ওপর জোর দিলে অনেকটা সুস্থ থাকা সম্ভব।
পুদিনা পাতার চা ও দারুচিনি:
পুদিনাপাতায় অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারে। পুদিনা পাতায় মেনথল রয়েছে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এদিকে দারুচিনি রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমাতে পারে।
লেবুর রস ও আদা:
লেবুর রসে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে। সেই সাথে আদা ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে। পানি ফুটিয়ে এর মধ্যে আদা ও লেবুর রস দিন। সপ্তাহে দু একবার খেলে পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে। সেই সাথে শরীরও ডিটক্সিফাই হয়।
ডার্ক চকলেট ও অ্যাভোকাডো:
ডার্ক চকলেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ব্যথা কমায়। সেই সাথে অ্যাভোকাডোতেও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। অ্যাভোকাডো অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। ম্যাগনেসিয়াম পেশী শিথিল করে ব্যথা কমাতে পারে। ডার্ক চকলেট ও অ্যাভোকাডো আলাদা খেতে পারেন আবার একসাথে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
স্যালমন ও পালং শাক:
একসাথে স্যালমন ও পালং শাক শুনে অদ্ভুত মনে হলেও দুইটির মিশ্রণ শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সেই সাথে পিরিয়ডের সময়ের ব্যথাও কমায় স্যালমন ও পালং শাক।
স্যালমনে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা প্রদাহ ও পিরিয়ডের ব্যথা কমায়। পালং শাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়ামসহ সহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একসাথে পালং শাক ও স্যালমন পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
তবে পালং শাক সালাদ হিসেবে বা রান্না করে যেভাবে খাওয়া হয় আগে যেনো ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া হয়। আর স্যালমন ভালোভাবে রান্না হয়েছে সে বিষয়টি সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে।
কলা,আনারস ও কিউই:
কলাতে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ থাকায় কলা পেট ফোলাভাব কমায় এবং ব্যথা কমায়। আনারস প্রদাহ কমায়। আর কিউই প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। কিউই আপনি যেভাবে ইচ্ছে খেতে পারেন। চাইলে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
মাসের এই সময়টাতে হাইড্রেট থাকার ওপর জোর দিতে হবে। অর্থাৎ বেশি করে পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে শসা, তরমুজ যেসব খাবার পানি বেশ সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া এই সময়টাতে সারাদিনের কাজকর্ম গুছায়ে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন।