খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কথা ও কাজে বিশ্বাসী। আমরা যে কথা দিয়ে থাকি সেটা বাস্তবায়ন করি। আমি এমপি হয়ে আসার এই গুলশাখালীতে স্কুল, কলেজ, রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণে আমাদের যতটুকু সাহায্যের সামর্থ ছিল করেছি। ধীরে ধীরে উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। গুলশাখালী উন্নয়ের পথে গেলেও উন্নয়নের প্রধান শর্ত বিদ্যুৎ ছিলো না। সে বিদ্যুতের দাবীও আমরা পুরণ করেছি। এখন থেকে গুলশাখালীবাসী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষে ধাপে ধাপে লংগদু উপজেলার সকল এলাকাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।
সোমবার (২৭সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় বিদ্যুৎ বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় গুলশাখালী ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পটির উদ্বোধন উপলক্ষে গুলশাখালী হাই স্কুলের মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেছেন।
লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বারেক সরকার এর সভাপতিত্বে ও গুলশাখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজনগর বিজিবি জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজুর মোঃ নুরুল ইসলাম খান পিএসসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাইনুল আবেদীন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য আবদুর রহীম, সদস্য আছমা বেগম, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন, তিন পার্বত্য জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, রাঙ্গামাটি, নির্বাহী প্রকৌশলী-১ প্রৌকঃ মোঃ সাইদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গুলশাখালী আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুলা ইসলাম ঝান্টু, গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু নাছির, বগাচতর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ, ভাসাইন্যাদম ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, কালাপাকুজ্জা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমাদের দেশে সমালোচক আর নিন্দুকের অভাব নেই। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে গুলশাখালীতে বিদ্যুৎ এসেছে এটাই সত্য। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যুতায়নের ১৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার পরের দাপে বরাদ্দ করেন ৫৪৫ কোটি টাকা। বতমানে ১৭শত কোটি টাকার বিদ্যুতানের উন্নয়ন প্রকল্প। আশাকরি এটি একনেকে অনুমোধন হয়ে যাবে। অনুমোধন পেলে এই এলাকায় একটি সাবস্টেশনসহ পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুতায়িত করা হবে। এই উপজেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ এখনও যায়নি। আশাকরি তৃতীয় ধাপে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ যাবে। আমরা মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আমরাও স্বপ্ন দেখি। ঘুমের ঘরে যে স্বপ্ন দেখি সেটি স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন হচ্ছে সেটাই যে বাস্তবে ঘুমাতে দেয় না।
আলোচনা সভা শেষে গুলশাখালীর চৌমুহনী বাজারের পাশে প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার এমপি আনুষ্ঠাকিভাবে সুইচ অন করে গুলশাখালীতে বিদ্যুৎ সংযোগ শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথিগনসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।