পিরোজপুরের নাজিরপুরে মধুমতি নদী তীব্র ভাঙ্গনে সহস্রাধীক পরিবার। গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, মোল্লারহাট, চিতলমারী বেশ কয়েকটি উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদীটির করাল গ্রাসে নদীর তীরবর্তী অসংখ্য গ্রাম আর জনপদের মানুষ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে মাথা গোজার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বাস করতে দেখা গেছে। খরস্রােতা মধুমতির তীব্র ভাঙ্গনে উপজেলার নদী তীরবর্তী সাচিয়া, ঝনঝনিয়া, মিঠারকুল গ্রামের প্রচীন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিম খানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িঘর ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী নদীটির আইডি নং-২৪১, দৈঘ্য-১৭৭ কি. মি., প্রশাস্ততা ১০০০কি.মি.। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভাঙ্গনের যে অবস্থা তাতে অচিরেই প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম নিশানা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জোহরা বেগম বলেন, তিন তিন বার আমি ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। বর্তমানে কবরের জায়গায় কোনমতে ঘর তুলে থাকি। এ ব্যাপারে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, ইতোমধ্যে আমরা ভাঙ্গন রোধের অনুমতি পেয়েছি। বর্তমানে বাঁধ নির্মানের প্রস্তুতি চলছে।