সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিনয়নে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রদান কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে প্রত্যেক ইউনিয়নে ১হাজার ৫ শত জন নিতে পারবেন টিকা। কেন্দ্র হবে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টায় সরজমিনে সরাইল সদরে দেখা যায় ৩টি কেন্দ্রই ফাঁকা। টিকা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বসে আছেন। অপেক্ষা করছেন। কখনো দরজা কখনো বাহিরের দিকে তাকাচ্ছেন। কখন আগ্রহী নারী পুরুষ আসবেন টিকা নিতে। শুধুই অপেক্ষা। বাহিরে ৮-১০ জন ভুক্তভোগী ঘুরছেন। তাদেরই একজন সৈয়দটুলা গ্রামের আব্দুন নূর (৪৭) বলেন, প্রথম ডোজ নিতে আসছিলাম। অনলাইনে নিবন্ধন নাকি লাগবে। এটা বুঝিই না। একটি দোকানে গিয়েছিলাম। নেট নাকি সমস্যা। তাই ঘুরছি। আগেই তো ভাল ছিল। লোকজন আসলেই দিয়ে দিত। সকাল সাড়ে ১০টায় ৩টি কেন্দ্রের ১টিতে ১৯ জন, ১টিতে ১৮ জন ও আরেকটিতে ১৩ জন। অর্থাৎ দেড় ঘন্টায় টিকা নিয়েছেন মাত্র ৫০জন। অথচ সকাল ৯টার দিকে প্রচুর লোকজন ছিল। নিবন্ধন সমস্যায় কেউ টিকা দিতে পারেনি। তাই বাড়ি চলে গেছেন। জনৈক ইউপি সদস্য ও সরকারি কর্মচারী বলেন, এত বড় কাজ। কোন প্রচার নেই। আর অনলাইন সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। সারা দিনে ৫ শত টিকাও দিতে পারবে না। নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী বলেন, ৮০ ভাগ লোক জানে অনলাইন নিবন্ধন কি? তাই আমাদের এখানে লোকজন টিকা নিতে পারছেন না। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.নোমান মিয়া টিকা কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি কম এ কথা স্বীকার করে বলেন, সিএস মহোদয় আসছেন। বিষয়টি দেখতেছেন। পূর্বে যাদের নিবন্ধন করা আছে তাদেরকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এরপরও দীর্ঘ সময় আছে তো। আর আমরা মাইকিংও করিয়েছি।