বাগানে সারিবদ্ধ মাল্টার গাছ। প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ঝুলে রয়েছে আধাপাকা মাল্টা। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দিলরুবা খাতুনের মাল্টা বাগানে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। দিলরুবা এখন গৃহিনী থেকে সফল মাল্টা চাষি ও স্বাবলম্বী হয়েছেন।
চার বছর আগে উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মোঃ আবু জুয়েনের স্ত্রী দিলরুবা খাতুন শখের বশে ১৬ শতাংশ জমির উপর সবুজ মাল্টা চাষ শুরু করেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় ৪ বছর আগে রাজ¦স প্রকল্পের আওতায় প্রর্দশনী দিয়ে বাড়ীর পাশে ১৬ শতাংশ জমিতে ভাল ও উন্নত জাতের মাল্টা চাষে উৎসাহিত করা হয়। এখন সে স্বাবলম্বী। নিজ উদ্যোগেই চা করে যাচ্ছে। এ বাগানে বর্তমানে প্রায় ৫৪টি মাল্টা গাছ রয়েছে। গত বছর থেকে আমার মাল্টা গাছে ফল ধরতে শুরু করে। গত বছর প্রায় ৮০ হাজার টাকার মাল্টা ফল বিক্রি করে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মাল্টা বাগানে ফলন বেশ ভাল হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে মাল্টা ফল কিনে নিচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ ধরে। মাল্টার রং সবুজ ও এর স্বাদ সুমিষ্ট হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ ভাল। তাকে অনুসরন করে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্র্র্রহী হয়ে উঠেছে।
মাল্টা গাছে সাধারনত রোগবালাই কম হয় তবে একটি রোগ মারাত্মক হতে পারে সেটি হচ্ছে গ্রিনিং রোগ এছাড়াও মাঝে মধ্যে ছত্রাকের আক্রমণ হয়। তবে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করলে রোগবালাই হয় না। গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমাট বাধতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দিলরুবা খাতুন বলেন-কৃষি অফিসের পরামর্শে মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠি। এখন তো অনেক ভাল লাগছে। প্রতিদিন লোকজন আমার বাগান দেখতে আসে। ভবিষ্যতে বাগানের পরিধি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন,আমাদের তত্ত্বাবধায়নে নারী চাষী দিলরুবা মাল্টার চাষ করেছে। শুরু থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়েছে এলাকার চাহিদার পাশাপাশি উপজেলার চাহিদার কিছুটা হলেও পূরণ করতে সক্ষম হবে। তাছাড়া আশপাশের এলাকার চাষীরা মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।