নওগাঁর আত্রাইয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নয়ন ইসলাম (২৮) নামের এক চাল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা কালিকাপুর ইউপির মদনডাঙ্গা ও শলিয়া-তারানগর খেয়াঘাট নামক স্থান থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় আত্রাই থানা পুলিশ চালগুলো উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মদনডাঙ্গা গ্রামের আবদুল জব্বার ওরফে জফেরের ছেলে নয়ন ইসলাম (২৮) এবং বাউল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আলমের ছেলে আবদুস সোবহান প্রামাণিক (৪০) গত মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিতরণকৃত চাল সুবিধাভোগিদের নিকট থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করেন। এসব চাল ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ হলেও তারা উচ্চ মূল্যের আশায় এ চালগুলো ক্রয় করে গুদামজাত করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকতেখারুল ইসলামের নির্দেশে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজুল হক আত্রাই থানা পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে মদনডাঙ্গা গ্রামের নয়নের বাড়ি হতে ৩০ কেজি করে ৩৩ বস্তা চাল এবং ১২ টি খালি বস্তা উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশ নয়নকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে একইভাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম থানা পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে শলিয়া-তারানগর খেয়াঘাট থেকে ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গ্রাম পুলিশকে টের পেয়ে ঘটনার স্থল থেকে বাউল্যা পাড়া গ্রমের পিতামৃত আলম প্রামানিক এর পুত্র মোঃ আবদুস সোবহান(৪০) চালব্যবসায়ী ১৪ বস্তা চাউল রেখে সটকে পড়ে। পরে আত্রাই থানা পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় (বস্তা বন্দি) ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার করে থানার হেফাজতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম ও খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বাদি হয়ে আত্রাই থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেছেন। বর্তমানে জব্দকৃত চাল আত্রাই থানা হেফাজতে রয়েছে। বুধবার সকালে গ্রেফতার নয়ন ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।