নাটোরে গরম ভাত ও ভাতের মারের উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে এক কিশোরী মাদরাসা ছাত্রীকে পোড়ানোর পর ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত মাদরাসার তিন শিক্ষককে আটক করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। আটক তিন জন হলেন সদরের উলুপুর গ্রামের তালেমুন নেছা হাফিজিয়া মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা মোঃ বাবুল আক্তার, তার ছেলে মাদরাসা বর্তমান প্রধান মাওলানা সোহরাব হোসেন এবং তার স্ত্রী সালমা বেগম।
এর আগে বুধবার সদরের চরলক্ষীকোল গ্রামের ইমরান আলী নাটোর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত সোহবার হোসেন, তার স্ত্রী সালমা বেগম ও তার বাবা মোঃ বাবুল আক্তার তাদের বাড়িতেই কিছুদিন থেকে একটি মাদরাসা পরিচালনা করে। তিন বছর আগে বাদী তার মেয়ে ইয়াসমিন খাতুন (১২)কে ঐ মাদরাসায় ভর্তি করেন। মাদরাসায় নিয়মিত বাচ্চা মেয়েদের দিয়ে ভাত রান্নাসহ শিক্ষক তার পরিবারের সব কাজ করানো হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার আগে তার মেয়ে ভাত রান্না করে পাতিল নিয়ে ঘরে ঢুকার সময় পড়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসার শিক্ষক সোহবার হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম তার মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে গরম ভাত ও ভাতের মারের উপর ফেলে দেয়। ফলে ইয়াসমিনের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে ঝলসে যায়। এ ঘটনার পর সোহবার হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম গুরুতর অসুস্থ্য ছাত্রীকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে আটকে রাখেন। চারদিন পর লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি লোকজন নিয়ে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাটোর থানার ওসি মুনসুর রহমান বলেছেন, অভিযুক্ত তিনজনকে আটক ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।