নোয়াখালীর সেনবাগে বাসার জানালা বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি চালক আকিব হোসেন প্রকাশ লিটন (৩২) মৃত্যু হয়েছে। নিহত আকিব হোসেন প্রকাশ লিটনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলায়। সে ওই উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের আবুল হাসেমের ছেলে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় শ্রেনীর একটি নার্সেস কোয়াটার ভবনে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত লিটনের স্ত্রী সুলতানা আক্তার রুমির অভিযোগ চিকিৎসা অবহেলার তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন পটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (১অক্টোবর) সকালে লিটন তার স্ত্রী ও ৪বছরের একটি শিশু সন্তান সহ পরিবার নিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় শ্রেনীর একটি নার্সেস আবাসিক কোয়াটারে ওঠে। রাতে বাসায় গিয়ে দেখে জানালা খোলা। সে খোলা জানালা বন্ধ করতে গিয়ে জানালা ভিতর থাকা একটি বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গিয়ে সে বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়লে সে চিৎকার দেয়। এ সময় তার স্ত্রী দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে সে ফ্লোরের পড়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় লিটনের স্ত্রী চিৎকার পাশ্বে কোয়াটার থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স রৌশন আরা এগিয়ে এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা (ম্যাসেস) দেয় সে ও স্ত্রী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফোন করে সহায়তা চান। কিন্ত জরুরী বিভাগের থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরুত্বে থাকা জরুরী বিভাগের কেউ ঘটনাস্থলে না গিয়ে লিটনকে জরুরী বিভাগে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। ঘটনাস্থলে থাকা সিনিয়র নার্স রৌশন আরা জানান তিনি যে সময় চিকিৎসা দিয়েছে ওই সময় সে লিটন জীবিত ছিলো। পরে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএর জরুরী বিভাগের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানান, সে আমার গাড়ির ড্রাইভার ছিল। জানালা বন্ধ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। চিকিৎসার অবহেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন পটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়খালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় প্রাথমিক ভাবে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে, স্ত্রীর অভিযোগ চিকিৎসকদের দায়ীত্ব অবহেলায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।