সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের শুধুমাত্র ১২ জেলের সন্ধান মিলেছে তবে এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারসহ ২০ জলেরে কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার বেলা ৩ টায় ১২ জেলেসহ এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলার পাথরঘাট বিএফডিসি মৎস্যঘাটে পৌঁছছে বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিক আবদুর রহমান।তিনি জানান, শনিবার বেলা এগারটার দিকে ট্রলারের জেলেদের সাথে ট্রলার মালিক আ. রহমানের যোগাযোগ হয়েছে।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরি জানান, জেলেসহ ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে আশ্রয় নিতে গিয়ে সুন্দরবনের চরে উঠে যায়। নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকায় মালিকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলেরা সেখান থেকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাগরে ফিরে নেটওয়ার্ক পেয়ে ট্রলারের জেলেরা মালিক আবদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রালারের পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল এলাকার নুর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে শাহ জাহান, খালেক মিস্ত্রির ছেলে মাসুদ, ছত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ, আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ, নুরু মিয়ার ছেলে ছগির, তাফালবাড়ি এলাকার খলিল গোলদারের ছেলে ফারুক, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছত্তার, আব্দুল লতিফের ছেলে নাসির, জ্ঞানপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে খলিল, কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম, বড় টেংরা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে ফুল মিয়া।
ফিরে আসা জেলেদের অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। তাদের চিকিৎসা ও বিশ্রামের দরকার।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাট থেকে অন্যান্য ট্রলারের সাথে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা করে মায়ের দোয়া ট্রলার। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মালিক ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কোন কথা হয়নি। এতে দুশ্চিন্তায় মালিক ও পরিবার বর্গ। এ বিষয়ে ট্রলার মালিক, মালিক সমিতি ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করেন। ছয়দিন পরে এফবি মায়ের দোয়া নামক ট্রলারের সন্ধান মেলে। তারা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
অপরদিকে নিঁখোজ, এফবি আবদুল্লাহ নামক ট্রলারের নিঁখোজ ২০ জেলের এখনো পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন ও সুন্দরবনের দুবলাচরের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানান, তাদের টহল বোট সাগওে অনুসন্ধান আছে। কোনো খবর পেলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে।
এদিকে, ১২ জেলে ফিরে আসার খবরে স্বজনের মনের দুশ্চিন্তা কমলেও বিলাপ করছে এফবি আবদুল¬াহ ট্রালারে থাকা জেলেদের পরিবার। এই ট্রলারের সকল শ্রমিকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার আলেকজান্ডার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।