শনিবার দুপুরে ভৈরব জংশন রেলওয়ে ষ্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছাকাছি নাসিরাবাদ ট্রেন লাইনচ্যুত হয় । লাইনচ্যুতির কারনে ভৈরব- কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রেল পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । এতে ভৈরব - কিশোরগঞ্জ - ময়মনসিংহ রুটে সকাল প্রকার ট্রেন চলাচল ৫ ঘন্টা বন্ধ থাকে। ট্রেনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে । নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির ৮টি চাকা লাইনচ্যূতর পর ৫ঘন্টা চেষ্টার করে প্রকৌশলীরা রেল লাইন সচল করতে সক্ষম হয় । সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রেল লাইন সচল হলে ভৈরব রেল ষ্টেশনে আটকে পরা আন্ত:নগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ।
এঘটঁনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । কমিটির অন্য সদস্যরা হলো রেলওয়ে সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী জিষাণ দত্ত ও সহকারি যন্ত্র প্রকৌশলী।
ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশন অফিস সূত্রে জানাযায়, ময়মনসিংহ থেকে চট্রগ্রামগামী নাসিরাবাদ মেইল ট্রেনটি সকালে ময়মনসিংহ থেকে চট্রগ্রামের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে দুপুর দেড়টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে ঢুকার সময় রেলওয়ে আউটার সিগন্যালের কাছাকাছি জগন্নাথপুরে ট্রেনের একটি বগির ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয় । ট্রেনটিকে উদ্ধারের জন্য আখাউড়া থেকে একটি রিলিফ ( উদ্ধারকারী ) ট্রেন বেলা ৪টায় এসে পৌছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি প্রায় দেরঘন্টা কাজ চালায় । সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রেল লাইন সচল হলে ভৈরব রেল ষ্টেশনে আটকে পরা আন্ত:নগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির কারনে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এসারসিন্ধু ট্রেনটি বাজিতপুরের সরারচর রেলওয়ে ষ্টেশন এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে । এতে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় ।
উল্ল্যেখ্যঃ গত ১ মাসে একই স্থানে ৩ বার ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে ।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ও ভৈরব বাজার ঘাট এর সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী জীষাণ দত্ত জানান, কি কারণে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে । আমরা তদন্ত কওে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবো ।