কক্সবাজারের খুটাখালী থেকে ১৫ জনের বন্ধু মিলে সোনাদিয়ার পশ্চিম প্রান্তে জাহাজ দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এ নৌকাডুবিতে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে সোনাদিয়ার স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা
ঘটনা সুত্রে প্রকাশ ও জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকজনের ভাষ্যমতে কক্সবাজার সদরের খুটাখালী ইউনিয়ন এর বাঘকুম গ্রামের ১৫জন বন্ধু ৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় একটি ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে বেড়াতে যায়। সোনাদিয়া দ্বীপে দুপুরের খাবার শেষে সকল বন্ধু মিলে নৌকা নিয়ে পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জাহাজ দেখতে যায়।
জাহাজ দেখার পর ফেরার রাত অনুমান ৮ঘটিকা পর্যন্ত হয়। সাগরের মাঝ পথে ব্ল্যাকের দিয়া নামক স্থানে তাদের বহনকারী নৌকাটি বালির চরে আটকা পড়ে। তখন ১৫জন বন্ধু মিলে নৌকাটিকে বালি থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ভাটার টানে নৌকাটি সাগের মাঝ খানে চলে যায়। তখন তারা কুলে উঠতে গিয়ে একটি ডুবন্ত খালে পড়ে গিয়ে বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করতে করতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চায়।
৯৯৯থেকে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ কে খবর জানানোর পর নৌ পুলিশ মহেশখালী থানা কে অবহিত করে।
তড়িৎ গতিতে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমান, মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই,ওসি তদন্ত আশিক ইকবাল,কুতুবজোমের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকনে হস্ত ক্ষেপে সোনাদিয়া এলাকার সেচ্চাসেবী গিয়াস উদ্দিন একটি ফিশিং বোট এ করে উদ্ধার কাজে দ্রুত এগিয়ে যায়।
রাত অনুমান ১১টার দিকে ব্ল্যাকের দিয়া নামক স্থান থেকে বিপদের অবস্থান থেকে ১৪জন কে জীবিত উদ্ধার করতে পারলে ও শাকিব হাসান নামের একজন কে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।
উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন সোনাদিয়ার নবনির্বাচিত মেম্বার একরাম মিয়া, ঘটিভাঙ্গার সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। সাগর থেকে উদ্ধার পরবর্তী মহেশখালী থানা পুলিশের উপস্থিতে ঘটিভাংগা সাইক্লোন শেল্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার দেওয়া হয়।
সাগরের মৃত্যুর কবল হতে যারা জীবন ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাঘকুম পাড়া গ্রামের আবদুল গনীর পুত্র নুরুল আলম,জালাল আহাম্মদের পুত্র বেলাল (৩০), ইউচুপ জালালের পুত্র আব্দুশুকুর (২৭), মমতাজ আহাম্মদের পুত্র কবির আহাম্মদ (৫১), জালাল আহাম্মদের পুত্র মামুনর রশিদ (২৩), আবুল খায়ের এর পুত্র টিটু (২৪), লেয়াকত আলীর পুত্র বাবুল (২৬), শামসুল আলমের পুত্র তৌহিদ (৩০), মো আলীর পুত্র ইসমাইল (২৫), রমজানুল হকের পুত্র ইনজামামুল হক (২৭), শওকত আলীর পুত্র খোরশেদ আলম(৩৪)মো আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ(৩২),আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃফারুক(২৪), ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র আসাহাব উদ্দিন (৩৩), নিখোজ জাফর আলমের পুত্র শাকিব হাসান (২৩)।
১৪জন জীবিত উদ্ধার ও ১জন নিখোঁজ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান জানান,সংবাদ পাওয়া পর পরই দ্রুত জীবিত উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করার কারণে ১৪জনকে ফিরে পেলে এখনো ১জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।