চাকরি দেওয়ার নামে ৩’শ টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের পরও মণিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা বাটবিলা দাখিল মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক পদে চাকরি হচ্ছেনা সম্ভব্য প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামানের। ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা গ্রহনকারী মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের ছলচাতুরি বুঝতে পেরে কামরুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গত ৭ সেপ্টেম্বর মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাদি কামরুজ্জামানের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন। সূত্র জানায়, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসার সুপারসহ বাদিকে মঙ্গলবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। জানাযায়, ৩০ সেপ্টেম্ব মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া নোটিশের সাড়া দেননি মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান (মহুরি)
ও সুপার। খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপার গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেবল কামরুজ্জামানের নিকট থেকে টাকা নেননি। অভিযোগ রয়েছে এ পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকার একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সভাপতি ও সুপার।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার ধার্য্যদিনে হাজির হননি। এছাড়াও বাদির উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এতেই শেষ নয় শুনানির জন্য পরবর্তীতে আবারও নোটিশ দেওয়া হবে তাদেরকে।