নোয়াখালীর সেনবাগে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কামাল উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি বিরুদ্ধে এছাক মিয়ার ছেলেদের ক্রয় করা জায়গায় বিল্ডিংয়ে জন্য নির্মান করা পিলার ভেঙ্গে পেলার অভিযোগ ওঠেছে।
ওই ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজারাপুর গ্রামে নুরানী পোল নামকস্থানে সোমবার দিবাগত মঙ্গলবার রাত ২টারদিকে। এ সময় ৩০/৩৫জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সাইফুল ইসলাম, ইমান হোসেন ও আলী হোসেনের ২শতাংশ জমিনের ওপর বিল্ডিংয়ের জন্য নির্মান ১২টি পিলার ভেঙ্গে পেলে। পিলার ভাঙ্গার খবর পেয়ে এছাক মিয়া সহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ করে এলাপাথাড়ী গুলি বর্ষণ করে ও হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীলা পালিয়ে যায়।
এছাক মিয়া জানায় ,উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে কামাল উদ্দিনের নিকট থেকে রাজারামপুর ৭৯ নং মৌজার ১১২৬ খতিয়ান থেকে তার তিন ছেলে সাইফুল ইসলাম, ইমান হোসেন ও আলী হোসেন বিগত ১৯/৭/২০ ইং ২শতাংশ জমিন সাবকবলা মুলে ক্রয় ওই জমিতে বিল্ডিংঘর নির্মান শুরু করে। এরপর প্রতিবেশী আজিম উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন ওই সম্পত্তি তার বাদী করে তার জাযগা থেকে এছাক মিয়া গং গাছ কেটে নিয়ে যাবার অভিযোগ ২০২০ সালে আদালতে পিটিশন মামলাং নং ১৩৯ ও সিআর মামলা নং ২০৬/ ২০ইং দায়ের করে। মামলা দায়েরর পর থেকে সে ও তার আইনজিবী আদালতে উপস্থিত না হওয়া ২০/১২/২০ ইং মামলাটি আদালত খারিজ করে দেয়। এরপর কামাল উদ্দিন আবারো ওই সম্পত্তি তার দাবী করে পিটিশন মামলা নং ২৩০/২০ইং আদালতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত ৪/৪/২১ইং তা বাতিল করে দেয়। এরপর কামাল উদ্দিন মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে ভাড়াটিয়া সস্ত্রাসী দিয়ে এছাকের ছেলেদের ক্রয় করা সম্পত্তিতে নির্মিতব্য বিল্ডিংয়ে পিলার ভেঙ্গে পেলে এতে প্রাং ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয় হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জায়গাটি তার বলে দাবী করেন। এবং তার জায়গায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বলে স্বীকার করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ থানার ওসি দায়ীত্বে ওসি তদন্ত ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানায়, রাতে মোবাইল ফোনে খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।