মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিদ্যুৎস্পর্শের ৭ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তাওহিদুল ইসলাম নামের ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের রথবাড়ি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হাওলাদারের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট।
এলাকাবাসী জানায় গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্ববর) দুপুর ২ টার দিকে পাশের বাড়ির (জিকোর বিল্ডিং) ছাদে খেলা করছিলো। এ সময় ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের লাইনের তারে স্পর্শ করলে তার হাত ও পেটের কিছু অংশ ঝলসে যায়। স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঢাকা রেফার করেন। পরে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসার পর আজ (বুধবার) তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মো. জিকো শেখ জানান, আমি সিরাজদিখান পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সাথে বাড়ি করার পর থেকে যোগাযোগ করেছি, বাড়ির উপর থেকে তার সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কয়েক বার পল্লিবিদ্যুতের ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েকজন এসে দেখে গেছেন। তারা বলেন ৩ টি পুল বা খুটি ও তার আমার দিতে হবে। প্রতিটি খুটির মূল্য ৪৫ হাজার টাকা এসব বলে কালক্ষেপন করেছে। এরইমধ্যে গত সপ্তাহে দূর্ঘটনা ঘটে যায়।
সিরাজদিখান পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, শিশুর মৃত্যু একটি দুঃখজনক ঘটনা। এটি ১১ হাজার গ্রিড লাইন, এ লাইনের নিচে বাড়ি ঘর নির্মাণ নিষেধ। ওখানে বিল্ডিং নির্মাণের অনেক আগে ২০০৩-৪ সালের দিকে এ লাইন আসছে। তারপরও মানবিক কারণে তার সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, একটু সময় লাগবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।