মাত্র ৯০ রানেই রাজস্থান রয়্যালসকে বেঁধে দিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলাররা। রাজস্থানকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই। ইশান কিশানের ফিফটিতে ৭০ বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় রোহিত শর্মার দলের। আইপিএলের ইতিহাসে এটা মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় বড় জয়। শারজাহতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এদিন টস হেরে দুই ওপেনার যশশ্বী জায়সওয়াল ও ইভিন লুইসের ব্যাটে রাজস্থানের শুরুটা মোটামুটি ভালো করেছিল। কিন্তু দলীয় ২৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। বিদায় নেন ১২ রান করা যশশ্বী জায়সওয়াল। এরপরই ধ্বস নামে রয়্যালসদের ব্যাটিং লাইনআপে। ২৪ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান আরেক ওপেনার ইভিন লুইস। ব্যার্থ অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন, শিবম দুবে, গ্লেন ফিলিপসরা। ৫০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত যায় রাজস্থান। এরপর ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া কিছুটা লড়াই চালালেও বেশিক্ষণ তাড়া ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ডেভিড মিলার ১৫ ও তেওয়াটিয়া ১২ রান করে আউট হন। ব্যাট হাতে শেষে ১ ছয়ে ৮ রান করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৯ উইকেট হারিয়ে ৯০ রানেই থামে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস। বল হাতে মুম্বাইয়ের হয়ে নাথান কোলটার নাইলের সর্বোচ্চ ৪ উইকেট ছাড়াও ৩টি উইকেট নেন জিনি নিশাম ও ২টি উইকেট নেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা ও সুরিয়াকুমার লম্বা ইনিংস না খেলতে পারলেও, ২৫ বলে ৫০ রানে একটি রোমাঞ্চর ইনিংস খেলেন ইশান কিশান। তাঁর সঙ্গে শেষপর্যন্ত ৫ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বাইয়ের ইনিংস ৮.২ ওভারে ৭০ বল বাকি থাকতে ৯৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শেষ হয়। বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান সুরিয়াকুমার যাদবের উইকেট পেলেও ২.২ ওভারে খরচ করেন ৩২ রান। চেতন সাকারিয়া ৩৬ রান খরচায় পান ১টি উইকেট। এই ম্যাচ হেরে প্লে-অফে যাওয়ার আশা শেষ হল রাজস্থানের। বিপরীতে আরও এক ম্যাচ অপেক্ষা মুম্বাইয়ের।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (৫১তম ম্যাচ)
রাজস্থান রয়্যালসঃ ৯০/৯ (২০ ওভার) লুইস ২৪, জায়সওয়াল ১২, মিলার ১৫, তেওয়াটিয়া ১২; কোলটার-নাইল ৪/১৪, নিশাম ৩/১২, বুমরাহ ২/১৪
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সঃ ৯৪/২ (৮.২ ওভার) রোহিত ২২, ইশান ৫০*, সুরিয়াকুমার ১৩, হার্দিক ৫*; মুস্তাফিজ ১/৩২, সাকারিয়া ১/৩৬
ফলাফলঃ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ নাথান কোলটার-নাইল (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)।