বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের গাজিরপার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নাসির উদ্দিন ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে চাকরি এমপিওভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। এব্যপারে ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ডালিম রাঢ়ি বাদী হয়ে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম জাহিদুর রহমানকে প্রধান ও জেলা শিক্ষা গবেষণা কর্মকর্তা নিপুন মন্ডল এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার সুমন চৌধুরীকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা শিক্ষা অফিসার।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের গাজিরপার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য ডালিম ১৪ সেপ্টেম্বরের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক- দূর্গা রানী সিকদার ২৭ সেপ্টেম্বর চিঠিতে বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তকরে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রধান করে। এছাড়াও ২ অক্টোবর বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
অভিযোগকারী ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ডালিম জানান,একবার শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে একটি অডিট হয়। সেই সময় অডিট প্রতিনিধি সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নাসির উদ্দিনের সনদ ভুয়া পায়। বিষয়টি বিদ্যালয় কতৃপক্ষ গোপন রাখে তাকে এলাকা পাঠিয়েদেন। পরবর্তিতে আবার যোগদান করেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, যখন আমরা নিয়োগ দিয়েছি তখন তাদের কাগজপত্র যাচাই করে নিয়েছি। এখন যদি তদন্তে তাদের কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয় তাহলে তারে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থানিতে হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্টের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাবারপারে পরবর্তি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক নাসির উদ্দিন জানান, ২০০৩ সালে ২৮ সেপ্টেমবর বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করি। কোন জাল সনদ দিয়ে চাকরি গ্রহন করেনি। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে ৪ সেপ্টেম্বরে তখন আমি সকল বৈধ কাগজপত্র দিয়ে নিয়োগ পেয়েছি।