বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এ বছর ৮৮টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। যা করোনাকালীন গত বছরের তুলনায় ৮টি বেশি। ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরীর কাজ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাবরিনা শারমিন।
শেরপুর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শেরপুর পৌরসভায় ৩০টি, বিশালপুর ইউনিয়নে ১৪টি, সীমাবাড়ী ইউনিয়নে ৮টি, খানপুর ইউনিয়নে ৮টি, ভবানীপুরে ৬টি, সুঘাট ইউনিয়নে ৬টি, গাড়ীদহ ইউনিয়নে ৪টি, শাহবন্দেগী ইউনিয়নে ৪টি, মির্জাপুরে ৩টি, কুসুম্বীতে ৩টি ও খামারকান্দি ইউনিয়নে ২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
মন্ডপগুলোর জন্য প্রতিমা তৈরীর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
প্রতিমা শিল্পী রামচন্দ্র রাজবংশী জানান, এ বছর ৭টি প্রতিমা তৈরী করছি। প্রতিমা তৈরীর খরচ বেড়েছে। একেকটি প্রতিমা ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা তৈরী করছি।
ঘোষপাড়ার প্রকাশ কুমার ঘোষ জানান, এ বছর ১০টি দুর্গা প্রতিমা তৈরী করেছি। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিমার চাহিদা অনেক বেড়েছে।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপুর্ন ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুুতিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা তৈরীর কাজ পরিদর্শণ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাবরিনা শারমিন।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাশীষ রায় জানান, প্রতিটি পুজামন্ডপে আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োজিত থাকবে। তবে গতবারের মতই নির্দেশনা মেনে পুজা আয়োজন করা হবে।
শেরপুর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুমার কুন্ডু জানান, ৮৮টি মন্ডপেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব মুখর ভাবে পালিত হয় আমরা সেই চেষ্টা করছি। দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান সফল করার সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাবরিনা শারমিন জানান, সনাতন ধর্শাবলম্বীরা যেন উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন করতে পারে এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিমা তৈরীতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা এদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিমা তৈরীর স্থান পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা তৈরীর কাজ এখন শেষের মধ্যে। আশা করি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন পরিবেশেই পূজার কাজ শেষ করবেন।